গল্প ০২: “ডিজিটাল আস্থার সোপান – চালডালের যাত্রা”
ওয়াসিম আলী ঢাকার একজন তরুণ উদ্যোক্তা, ২০১৩ সালে কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রতিষ্ঠা করেন চালডাল – একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা গ্রাহকদের দরজায় গ্রোসারি পণ্য সরবরাহ করে। ঢাকার ব্যস্ত জীবনযাত্রা এবং বাজারে যাওয়ার ঝামেলা দেখেই তাদের এই উদ্যোগের ধারণা আসে। তবে ই-কমার্স ব্যবসায় শুধু দ্রুত পণ্য সরবরাহই নয়, গ্রাহকদের আস্থা অর্জনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম দিকে, চালডাল তাদের কার্যক্রমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। অনেকেই তখনও অনলাইনে কেনাকাটা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন – ঠিকমতো পণ্য পৌঁছাবে কি না কিংবা মান ঠিক থাকবে কি না। তাই এই আস্থার ফাঁক পূরণ করতে ওয়াসিম আলী ও তার টিম পেমেন্ট সিকিউরিটি, ডেলিভারির স্বচ্ছতা এবং গ্রাহকসেবায় বিশেষ মনোযোগ দেয়।
চালডাল দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে তাদের দ্রুত ডেলিভারি মডেল এবং মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে। তারা কেবল ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করেই থেমে থাকেনি, বরং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (MFS) সুবিধা যুক্ত করে ডিজিটাল পেমেন্টেও আস্থা গড়ে তোলে। তাদের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং সিস্টেম গ্রাহকদের জানায় ঠিক কখন পণ্য পৌঁছাবে, যা ক্রেতাদের মধ্যে ভরসা জাগায়।
চালডালের এই যাত্রা বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে নতুন এক উদাহরণ স্থাপন করে, যেখানে তারা শুধু অনলাইনে ব্যবসা করেই থেমে থাকেনি, বরং ডিজিটাল আস্থার মানদণ্ড তৈরি করেছে।
এই গল্পের অনুপ্রেরণায় চালডালের মতো উদ্যোক্তা সফলভাবে গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করে ব্যবসায় টিকে থাকতে পারছে এবং দেশজুড়ে প্রযুক্তি-নির্ভর সেবা ছড়িয়ে দিচ্ছে। চালডালের এই উদাহরণ প্রমাণ করে, প্রযুক্তি আর স্বচ্ছতার মিশেলে ডিজিটাল আস্থা তৈরি করা সম্ভব, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসার টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়।
Very good https://rb.gy/4gq2o4